জন্মযন্ত্রণা
পিছনে গলিত কবন্ধের পাহাড়
-- হঠাৎ চখের চমক
ওয়ালিউল্লাহ আহমদ লস্কর
আটাশ অক্টোবর আমার
জন্মদিন নয়
যদিও সেই দিনেই
জন্মযন্ত্রণার শুরু হয়।
জঠর থেকে জঠরে,
আঁধার থেকে আঁধারে
বুকে হেটে যাওয়ার
নাম,
গোলক ধাঁধায় ঘোরপাক খাওয়ার নাম
জন্মযন্ত্রণা।
পিছনে গলিত কবন্ধের পাহাড়
দিগন্ত বিস্তৃত মুমূর্ষু হাহাকার,
ডান প্রান্তরে জ্বলছে
স্বসৃষ্ট নরক
ফট ফট ফাটছে সেরা
মানব মস্তক,
বামদিকে ভয়ানক মৃত্যুর
আয়োজন
দেখে মরণ কাঁপছে
প্রলয় কাঁপন
মাথার উপর উড়ন্ত
পায়রার দল
উড়ে ঊড়ে হয়ে যায়
মানুষ মারার কল,
পায়ের তলয়ার প্রান্তর
পূর্ণ কিলবিল শ্বাপদে
জঠরের ভিতর টইটুম্বুর
লৌকিক অ-লৌকিক আপদে,
এর চাপে ক্ষুদ্র থেকে
ক্ষুদ্রতর জঠর পথে
মুখ রেখে দৃষ্টি মেলে
দিই সাম্নের দিগন্তে,
রক্ত আঠালো-পিচ্ছিল
গন্ধ ভেসে আসে নাকে—
জরায়ুমুখে অন্ধকার ওত
পাতে বাঁকে বাঁকে।
-- হঠাৎ চখের চমক
এক ফোঁটা তরল আলো
মিটি মিটি জ্বলছে
জ্বলছে আর নিভছে—হাতছানি দিচ্ছে।
একি মরীচিকা, নাকি
আলেয়া?
নাকি ও-ই আমার জীবন
প্রিয়া?
প্রেমের অনুভবে গাঢ়
থেকে গাঢ়তর জন্মযন্ত্রণা,
জীবনের টানে বাড়ছে
অসহ্য জীবন-বিরহ-বেদনা।
জঠরের দেওয়ালে চোখ
বুজে মাথা খুঁড়ছি,
বুক ঘসটে ঘসটে জরায়ুর
মুখ খুঁজছি।
আটাশ অক্টোবর আমার
জন্মদিন নয়,
যদিও জন্মযন্ত্রণার
শুরু সেইদিনেই হয়।
জবন মানে যন্ত্রণা?
নাকি প্রেম, আলো আর শান্তি?
ওগো জনম-প্রিয়া,
ঘোচাও আমার জবন-ভ্রান্তি!
1 comment:
Sorry for the typos.
Post a Comment