ইউরোপের বিভিন্ন দেশে বসবাসরত মুসলমানরা ইসলাম
ধর্মের বিধি-বিধান অনুসরণ করার কারণে বৈষম্যের শিকার হচ্ছেন বলে জানিয়েছে
আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল। অ্যামনেস্টি বলেছে- শিক্ষা
এবং কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রে মুসলমানরা বেশী বৈষম্যের শিকার হচ্ছে।
বেলজিয়াম, ফ্রান্স, নেদারল্যান্ড, স্পেন এবং সুইজারল্যান্ডে বসবাসকারী মুসলমানদের পরিস্থিতির ওপর এ প্রতিবেদনে গুরুত্বারোপ করা হয়েছে। অ্যামনেস্টির এ প্রতিবেদনে ইসলাম সম্পর্কে কল্পনাপ্রসূত, ভুল এবং প্রতিকূল ধারণা দূর করতে ইউরোপীয় সরকারগুলোর প্রতি আহবান জানানো হয়েছে। প্রতিবেদনে আরো বলা হয়েছে, ইউরোপীয় দেশগুলোতে ইসলাম এবং মুসলমান সম্পর্কে ভুল ধারণাগুলো দূর করার কোনো চেষ্টা করা হচ্ছে না বরং কিছু কিছু রাজনৈতিক দল ও কোনো কোনো সরকারি কর্মকর্তা ভোট পাওয়ার লোভে এ সবকে আরো উস্কে দিচ্ছে।
ফ্রান্সসহ যে সব দেশ মুসলিম নারীদের নেকাব নিষিদ্ধ করেছে অ্যামনেস্টির প্রতিবেদনে সে সব দেশের কঠোর সমালোচনা করা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, হিজাব বা শালীন পোশাক পরা মুসলিম নারীদের চাকরি দেয়া হয় না এমনকি মাথায় ওড়না ব্যবহারসহ ঐতিহ্যবাহী ইসলামী পোশাক পরার কারণে মুসলিম মেয়েদেরকে নিয়মিত ক্লাসগুলোতে অংশগ্রহণ করতে দেয়া হয় না।
এ ছাড়া,দাঁড়ি রাখার দায়ে মুসলিম পুরুষদেরকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হতে পারে। ইসলামী বিধান অনুসরণের কারণে চাকরি থেকে বহিষ্কারের যে ধারা সৃষ্টি হয়েছে, তা ইউরোপীয় ইউনিয়নের আইনের সঙ্গে সরাসরি সাংঘর্ষিক বলে দাবি করেছে অ্যামনেস্টি।
২০০৯ সালে মসজিদের মিনার নির্মাণের ওপর সুইজারল্যান্ড যে
নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে এ প্রতিবেদনে তারও কঠোর সমালোচনা করা হয়েছে। এতে আরো বলা হয়েছে, স্পেনের ক্যাটোলিনা অঞ্চলে মসজিদ
নির্মাণকে ওই অঞ্চলের কথিত ঐতিহ্য এবং সংস্কৃতির বিরোধী বলে দাবি করা হয়েছে এবং
মসজিদ নির্মাণের অনুমতি না দেয়ায় সেখানকার মুসলমানরা খোলা স্থানে নামাজ পড়তে বাধ্য
হচ্ছেন।
No comments:
Post a Comment